দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করার জন্য এ দেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, কবি, সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, সংগীতশিল্পী, চলচ্চিত্রকারসহ বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা ছিল অনন্য।
তাদের ভূমিকা শুধু যুদ্ধের ৯ মাসেই সীমিত ছিল না।
ব্রিটিশ আমলে পরাধীনতার বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
ভাষা আন্দোলন, স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন এবং ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানে তারা ছিলেন অনুপ্রেরণাদানকারী।
কেউ কেউ সামনের কাতারে। বাঙালি জাতির ওপর পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষণ, অত্যাচারের বিষয় সাধারণ মানুষকে অবগত করেছিলেন তারা। বাংলাদেশ থেকে যে বিপুল পরিমাণ সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যাচ্ছে এ কথা সবাই জানত।
কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন সারণীর মাধ্যমে যে সত্যটাকে জনগণের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছিল। তারাই সর্বপ্রথম পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে দুটি স্বতন্ত্র অর্থনীতি চালুর কথা বলেছিলেন।
বাঙালি সাংবাদিকরা তুলে ধরেছেন আন্দোলনের প্রতিটি খবর শিল্পী-সাহিত্যিকরা গল্প-উপন্যাস, নাটক, গানসহ লেখনীর মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক মৌলিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের প্রতি সচেতন করে তুলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা কখনো স্বতন্ত্র, কখনো একই সঙ্গে করেছেন আন্দোলন। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন বুদ্ধিজীবীরা।